শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
মাহমুদ হাসান ফাহিম:
আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির মতো বিভিন্ন স্তরের মানুষের বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণনাভঙ্গিও মহান আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন। বিভিন্ন স্তরের বর্ণবৈষম্যে যেমন কেউ শ্বেতকায়, কেউ কৃষ্ণকায়, কেউ লালচে এবং কেউ হলদেটে। তেমনি মানুষের ভাষার বিভিন্নতাও কুদরতের এক বিস্ময়কর লীলা। ভাষার ভিন্নতার মধ্যে অভিধানের ভিন্নতাও অন্তর্ভুক্ত।
আরবি, ফারসি হিন্দি, তুর্কি, ইংরেজিসহ কত ভাষা আছে এই পৃথিবীতে। বিভিন্ন ভূখণ্ডের বিভিন্ন ভাষা। এরমধ্যে কোনো কোনো ভাষা পরস্পর এত ভিন্নরূপ যে, এদের মধ্যে পারস্পরিক কোনো সম্পর্ক আছে বলেই মনে হয় না। স্বর ও উচ্চারণভঙ্গির ভিন্নতাও ভাষার ভিন্নতার মধ্যে শামিল। আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক পুরুষ, নারী, বালক ও বৃদ্ধের কণ্ঠস্বরে এমন স্বাতন্ত্র্য সৃষ্টি করেছেন যে, একজনের কণ্ঠস্বর অন্যজনের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে পুরোপুরি মিল রাখে না। কিছু না কিছু পার্থক্য অবশ্যই থাকে। অথচ জিহ্বা, ঠোঁট, তালু ও কণ্ঠনালি সবার মধ্যেই অভিন্ন ও একরূপ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে আছে আকাশমণ্ডলী, পৃথিবীর সৃজন এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই এর মধ্যে নিদর্শন আছে জ্ঞানবানদের জন্য।’ (সুর রুম, আয়াত ২২)
আমরা বাঙালি জাতি। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। এ ভাষা মহান আল্লাহর কুদরতি দান। তিনিই দিয়েছেন এই ভাষা। এটা তারই একান্ত অনুগ্রহ। তবে এতে রয়েছে আমাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর যথাযত মূল্যায়ন করে চর্চা করতে হবে, শিখতে হবে, লিখতে হবে এবং বলতে হবে। বাগ্স্বাধীনতার নামে ইসলাম বিরোধী, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না।
এই জামিনে আল্লাহর দ্বীন প্রচার করার ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে নির্বাচন করা হয়েছে। এই মনোভাব নিয়ে ভাষা চর্চা করলে প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
ভয়েস/আআ